• সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪০
সর্বশেষ :
ফরিদপুরে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক, ১৫ দিনের কারাদণ্ড | চাঁদা তুলতে গিয়ে ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৩ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল বন্ধ বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে কিশোরগঞ্জে সার্বজনীন মানববন্ধন ময়মনসিংহে হাসপাতাল-ক্লিনিকে র‌্যাবের অভিযান , ৫ লাখ টাকা জরিমানা উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে শ্যামনগরে র‍্যালি, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন নির্বাচিত হতে পারলে খাজরা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা ও কোনো কাঁচা রাস্তা : সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ব্রহ্মরাজপুরে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারেশ নিয়ে বিরোধ: অবশেষে আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি

আশাশুনি বাজার ও ওয়াপদার পাশে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনে উদ্বিগ্ন

বি এম আলাউদ্দিন, আশাশুনি প্রতিনিধি / ১৪৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫

ইউএনওর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শণ

 

 

আশাশুনি উপজেলা সদর বাজার ও পাশের শত শত বসবাসকারী নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। ক্রান্তি লগ্নে পাউবোর ১৫ দিনের মধ্যে স্থাপনা অপসারনের ঘোষণা মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে।

 

আশাশুনি সদর বাজার ও পার্শবর্তী এলাকা দীর্ঘকাল নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে আসছে। ইতিপূর্বে বাজারের অসংখ্য দোকান, পুরাতন হাসপাতাল, অফিস ও শত শত বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী খনন কাজ শুরু হলে বাজার রক্ষা, এলাকার শত শত বাসিন্দাদের রক্ষার জন্য দাবী জানানো হয়।

 

মিছিল, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা, স্মারকলিপি পেশসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন নিবেদন করা হয়। সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর মাঝখান দিয়ে নদী খননের দাবী জানান হয়। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে জনদাবী বাস্তবায়ন হয়নি। আজ প্রমানিত হচ্ছে মানুষের দাবী কতটা যৌত্বিক ছিল। সিএস ম্যাপ অনুযায়ী খনন হলে বাজারটি পূর্বের অবস্থায় ফিরতে পারতো। কিন্তু বর্তমানে ভাংতে ভাংতে বহু দূরে সরে আসা দোকান পাট, অফিস, প্রতিষ্ঠান পুনরায় নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়তে চলেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাজারের অবশিষ্ট দোকান পাট ও স্থাপনার বড় অংশ ভাঙ্গনের কবলে পড়বে।

 

এলাকাবাসীর দাবী, নদী প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু অপসারন করা হোক। কিন্তু ওয়াপদার পাশে শত শত দোকান পাট, অফিস, ব্যাংক বীমা, স্থাপনা, হাজার হাজার পরিবারের ঘরগৃহ যারা বছরের পর বছর ওয়াপদার পাশে বসবাস করে আসছে, তাদের অপসারন করে ওয়াপদা কি সেখানে কিছু করবে? যদি না করে তবে তাদেরকে বৈধ প্রক্রিয়ায় রাজস্ব নিয়ে বসবাস ও ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ করে দেয়া হোক। সাথে সাথে বাজার ও এলাকা রক্ষার জন্য দ্রুত ব্লক ফেলা ও টেকসই বাঁধ নির্মানের ব্যবস্থা করা হোক। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাজার, উপজেলা পরিষদ, থানা, স্কুল, দোকান পাট, অফিস, বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় সোমবার বিকাল ৩ টায় নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জেলা প্রশাসকসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।

 

এসময় বাজার কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক এবিএম আলমগীর পিন্টু, সহ সভাপতি প্রভাষক ইয়াহিয়া ইকবাল, বিল্লাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক আহসান উল্লাহ, প্রেস ক্লাব সভাপতি জি এম আল ফারুক, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান, আকাশ হোসেন, আলাউদ্দীন, মোস্তাফিজুর রহমান, লিংকন আসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com