খাজরা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, গণমানুষের নেতা, অন্যায়ের প্রতিবাদ কারী আশাশুনি উপজেলার শাখার জিয়া পরিষদের সহ সভাপতি ও ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাচ্চুর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ও খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটাতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও তাদের দোসরদের কর্তৃক মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ইউনিয়ন বাসীর আয়োজনে ইউনিয়নের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, চাকুরীজীবী, শিক্ষক, ভ্যান শ্রমিক, দিনমজুর সহ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ভ্যান শ্রমিক নেতা মোঃ মফিজুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ গাজী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম খালিদ, বিএনপি নেতা ও পশ্চিম খাজরার ১৪৪ নং দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি মোঃ শামসুল আলম সরদার, কৃষক দলের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ, জামায়াত নেতা আব্দুল হাকিম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইউনিয়ন সমন্বয়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম সুমন প্রমুখ। ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ গাজী তার বক্তব্যে বলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাচ্চুর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য কয়েকজন মেম্বাররা জড়িত হয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অন্যায় আবদারের কথা চেয়ারম্যান রাখতে পারিনি।

এজন্য তারা বিরোধীতা করছে।৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম খালিদ তার বক্তব্যে বলেন ৮ নং খাজরা ইউনিয়নকে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা আওয়ামী লীগের দোষর। ২০১৩ সালে খাজরায় ডাক্তার শহিদুল আলমের অনুষ্ঠান ব্যাঘাত ঘটাতে যারা বিরোধিতা করেছিল এখনো তারা ইউনিয়নের ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ভাবমূর্তি নষ্ট এবং ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বিঘ্ন করতে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এর আগে রাম মেম্বার আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের টাকা উঠিয়ে নেয়।আমাদের দেয়নি। বর্তমানে যারা এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত তারা সবই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের দোসর। এজন্য তারা তো বিএনপি'র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেই। বিগত দিন তারা ভিজিডি কার্ড ও টাংকি বাবদ বহু টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এগুলোকে প্রতিরোধ করছে বলেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

বিএনপি নেতা শামসুল আলম সরদার তার বক্তব্যে বলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাচ্চু ভালোভাবেই ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করছেন এবং নিয়মিত পরিষদ আসেন তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কৃষক দলের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন আজকের এই মানববন্ধন বিক্ষোভ সমাবেশে সহাস্রাধিক মানুষের উপস্থিতিতে বুঝা যায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কোন অপরাধ নেই। যাদের স্বার্থে আঘাত লাগছে তারা জনগণের কান ভাঙাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা আগামীতে যে ভিজিডির কার্ড করা হবে তার জন্য টাকা কালেকশন করেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইউনিয়নের সকলকে নিয়ে ভিজিডি কার্ড ফ্রিতে এবং গরিব দুস্থদের নিয়ে করবে বলে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে ।তার মত চেয়ারম্যান পেয়ে আমরা খুশি।

জামায়াত নেতা আব্দুল হাকিম তার বক্তব্যে বলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাচ্চু সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে আওয়ামী লীগের দোসরদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মেম্বাররা এ ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত। এর আগে এসব মেম্বাররা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করে যাচ্ছিল। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাদের অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে বলায় ও ভিজিডি কার্ড সকলকে নিয়ে করবে বলে তারা তাকে বিরোধিতা করা শুরুসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে।

মানববন্ধনে বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইউনিয়ন সমন্বয়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন ষড়যন্ত্রকারীদের কাজ ষড়যন্ত্র করা, বিগত দিন তারা ষড়যন্ত্র করেছিল এখনো করছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নিয়মিত পরিষদ আসে। তাকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম বাচ্চু বলেন আমি ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পাওয়ার পর সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করছি একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থে আঘাত লাগায় ষড়যন্ত্র করছে। ভিজিডির ৩৫১ টি কার্ড ইউনিয়নের সকল নেতাকর্মী ও জনসাধারণদের নিয়ে অসহায় গরিব দুস্থদের নামে করবো এবং ট্যাংকির টাকা দিতে নিষেধ করায়। তারা এমন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এর আগে তারা আমার সাথে ছিল। পৃথিবীর ৮১টি কার্ড সংশোধন করা হয়, মাতৃকালীন ভাতার তালিকা করা হয়। সেগুলো রেজুলেশন ইউনিয়ন পরিষদের রয়েছে। রেজুলেশন এর প্রত্যেক মেম্বারদের স্বাক্ষর আছে এবং তারা ছিল। আগামীতে ভিজিডির ৩০ কেজি চাউলের কার্ড সঠিকভাবে করা হবে, যারা পাওয়ার যোগ্য তারাই পাবে। ইউনিয়নের সকল জনগণকে নিয়ে করা হবে। আমি যতদিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছি ইউনিয়ন পরিষদের সঠিকভাবে পরিচালনা করবো।

এ সময় মানববন্ধনে বিক্ষোভ সমাবেশ ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজান, সদস্য আব্দুর রহিম, জেলা জিয়া সাইবার কোচের সদস্য মোঃ বিল্লাল বিশ্বাস, ১নং নম্বর ওয়ার্ড যুব দলের সভাপতি সোহাগ হোসেন, হায়দ্রা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জাহিদ হোসেন ,ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ডাঃ নজরুল ইসলাম, সাবেক প্রচার সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম আমিনুল হোসেন আলিম হোসেন শাকিল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চুর সঠিকভাবে পরিচালনা করতে এবং ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে খাজরা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন।