• মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১০
সর্বশেষ :
ফুলকপি একটি পুষ্টিকর সবজি, যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ফরিদপুরে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক, ১৫ দিনের কারাদণ্ড | চাঁদা তুলতে গিয়ে ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৩ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল বন্ধ বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে কিশোরগঞ্জে সার্বজনীন মানববন্ধন ময়মনসিংহে হাসপাতাল-ক্লিনিকে র‌্যাবের অভিযান , ৫ লাখ টাকা জরিমানা উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে শ্যামনগরে র‍্যালি, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন নির্বাচিত হতে পারলে খাজরা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা ও কোনো কাঁচা রাস্তা : সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য চাল কুমড়ার বড়ি তৈরীতে ব্যস্ত গ্রামের বধুরা

মোঃ তাজমুল ইসলাম, তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি / ১২৩ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
কুমড়ার বড়ি তৈরীতে ব্যস্ত গ্রামের বধুরা

তালার গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য চাল কুমড়ার বড়ি তৈরীতে গ্রামীণ বধুরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বলা যায়, হাড় কাপানো শীতকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়েই শুরু হয়ে যায় চাল কুমড়া দিয়ে বড়ি বানানোর তোড়জোড়। শীত আসলেই, বিশেষ করে পৌষে শুরু হলেই বড়ি তৈরির ধুম পড়ে গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িতে। বাজার থেকে কিনে আনার চেয়ে তারা বাড়িতেই বানাতে পছন্দ করেন এই বড়ি। বাড়িতে বনানো বড়ির স্বাদ বেশী ভালো হয় বলে তারা মনে করেন গ্রামের বধুরা।

অতিথি আপ্যায়ন, আতœীয় স্বজনের বাড়িতে সরবরাহসহ অনেকে পেশা হিসেবে বড়ি তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। শীতের সবজিতে চাল কুমড়ার বড়ির ব্যবহার আজও গ্রাম বাংলার সেই পুরনো চিত্র ফুটে ওঠে। উপজেলার অধিকাংশ বাড়িতে শীতের এ সবজি তৈরীতে চলছে উৎসব।

জানা গেছে, শীতের শুরুতে আবহমান কাল থেকে গ্রাম বাংলায় চাল কুমড়ার বড়ির ব্যবহার হয়ে আসছে। এজন্য উপজেলার অধিকাংশ এলাকার কৃষকরা শ্রাবণ ভাদ্র মাসে মাসকলাইয়ের আবাদ করে থাকে।

শীতের শুরুতেই এ কলাই কৃষকের ঘরে ওঠে। তখন চাল কুমড়ার সাথে এ কলাই মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করে বড়ি তৈরী করা হয়ে থাকে। শীতের সবজির সাথে এ বড়ি দিয়ে রান্না করলে তরকারি খুব সুস্বাদু হয়ে থাকে। এ কথা বিবেচনা করে গ্রামীণ জনপদে আবহমান কাল থেকে বড়ির প্রচলন রয়েছে।

তেঁঁতুলিয়া ইউনিয়নের লাউতাড়া গ্রামের গৃহবধু আমেনা খাতুন ও লিমা খাতুন জানান, এবছর ১০ কেজি চালকুমড়ার বড়ি দিয়েছেন। মাসকলাইয়ের সাথে চালকুমড়া মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করে বড়ি তৈরী করা হয়ে থাকে। এরপর পরিষ্কার কাপড়ের ওপর ইচ্ছে মতো সাজিয়ে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে বড়ি সংরক্ষণ করা হয়। শহরের আত্মীয় স্বজনদের কাছে এর কদর সবচেয়ে বেশী। শীতের শুরুতেই এর চাহিদা মেটাতে তাই তারা গ্রামের আত্মীয় স্বজনদের অপেক্ষায় থাকেন। যার কারণে গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে চলে চালকুমড়ার বড়ি তৈরীর উৎসব।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com