• সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৯
সর্বশেষ :
ফরিদপুরে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক, ১৫ দিনের কারাদণ্ড | চাঁদা তুলতে গিয়ে ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৩ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল বন্ধ বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে কিশোরগঞ্জে সার্বজনীন মানববন্ধন ময়মনসিংহে হাসপাতাল-ক্লিনিকে র‌্যাবের অভিযান , ৫ লাখ টাকা জরিমানা উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে শ্যামনগরে র‍্যালি, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন নির্বাচিত হতে পারলে খাজরা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা ও কোনো কাঁচা রাস্তা : সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ব্রহ্মরাজপুরে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারেশ নিয়ে বিরোধ: অবশেষে আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি

বই থেকে মানব চামড়ার মলাট সরিয়ে নিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিনিধি: / ২৮৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বিদেশ : ১৯ শতকের একটি বইয়ের মলাট বাঁধাই করা হয়েছিল মানুষের চামড়া দিয়ে। ২০১৪ সালে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেন, বইটিতে আসলেই মানুষের চামড়ার মলাট ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯৩০-এর দশক থেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হাফটন লাইব্রেরিতে রয়েছে ‘দে দেসতিনে দো লামো (ডেসটিসিজ অব দ্য সোল)’ শীর্ষক বইটি।  হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা দিয়েছে, বইয়ের উৎপত্তি ও পরবর্তী ইতিহাসের নৈতিকভাবে বিতর্কিত প্রকৃতির কারণে তারা ওই মলাট খুলে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই গ্রন্থাগারে ৯০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাখা ছিল বইটি। ১৮৮০-এর দশকে আর্সিন হুসে আত্মা ও মৃত্যু-পরবর্তী জীবন নিয়ে মেডিটেশন বিষয়ক বই ‘দে দেসতিনে দো লামো’ লিখেছিলেন। তিনি বইটি তার ডাক্তার বন্ধু লুডোভিক বোল্যান্ডকে দিয়েছিলেন বলে কথিত আছে। তিনিই মানুষের চমড়া দিয়ে বইটি বাঁধাই করেছিলেন। প্রাকৃতিক কারণে মারা যাওয়া এক নারী রোগীর শরীরের চামড়া দিয়ে বইটি বাঁধাই করেছিলেন। ওই নারীর লাশের কেউ দাবিদার ছিল না। ১৯৩৪ সালে হার্ভার্ডে আনা হয় দে দেসতিনে দো লামে’। তখন এই বইয়ের সঙ্গে ছিল চিকিৎসক বুলান্ডের একটি চিরকুট। সেখানে লেখা ছিল, ‘মানব আত্মা নিয়ে লেখা একটি বইয়ে মানব মলাট থাকাটাই উপযুক্ত।’ বই থেকে খুলে নেওয়া মানব দেহাবশেষটির সম্মানজনক ব্যবস্থা করতে চায় বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ ছাড়া অজ্ঞাত ওই নারীর জীবন নিয়েও গবেষণা করছে হাফটন লাইব্রেরি। বোল্যান্ড লিখেছিলেন, ষোড়শ শতাব্দী থেকে ‘এনথ্রোপোডার্মিক’ শব্দটি বেশ প্রচলিত, যার অর্থ হচ্ছে মানুষের চামড়া দিয়ে বইয়ের মলাট করা। ওই শতকে এর প্রচলন ছিল। তখন কেউ অপরাধ করলে তার চামড়ায় তা লিখে দেওয়া হতো। অনেক সময় কেউ কেউ মরে যাওয়ার পর তার চামড়া দিয়ে বইয়ের মলাট বানিয়ে তাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের অনুরোধও করে যেতেন। ১৯ শতকের অসংখ্য বিবরণ রয়েছে, মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপরাধীদের মৃতদেহ বিজ্ঞানকে দান করা হয়েছিল। তাদের চামড়া পরে যারা বই বাঁধাই করে তাদের দেওয়া হয়েছিল। সূত্র : বিবিসি


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com