• সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৪
সর্বশেষ :
ফরিদপুরে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক, ১৫ দিনের কারাদণ্ড | চাঁদা তুলতে গিয়ে ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৩ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল বন্ধ বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে কিশোরগঞ্জে সার্বজনীন মানববন্ধন ময়মনসিংহে হাসপাতাল-ক্লিনিকে র‌্যাবের অভিযান , ৫ লাখ টাকা জরিমানা উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে শ্যামনগরে র‍্যালি, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন নির্বাচিত হতে পারলে খাজরা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা ও কোনো কাঁচা রাস্তা : সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ব্রহ্মরাজপুরে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারেশ নিয়ে বিরোধ: অবশেষে আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি

বগুড়া সোনাতলায় সাতবেকী-মোনারপটল সড়ক ৫৩ বছরেও কার্পেটিং হয়নি

বগুড়া প্রতিনিধি / ২০৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হয়ে গেলেও বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলায় সাতবেকী-মোনারপটল গ্রামীণ সড়কটি কার্পেটিং এখন পর্যন্ত আধুনিকতার ছোয়া লাগেনি। এই সড়কের কার্পেটিং করার জন্য অনেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন হয়নি। গ্রামীণ এই সড়কে শুষ্ক মৌসুমে কোন রকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার ১৪-১৫টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ চরম দুর্ভাগ পোহাতে হয়।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বাঙ্গালি ও যমুনা নদীর মধ্যবর্তী সাতবেকী-মোনারপটল এলাকা। ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি কার্পেটিং এর দাবি দীর্ঘদিনের। হরিখালী থেকে সাতবেকী ভায়া মোনারপটল সড়কে প্রতিনিয়ত মধুপুর, পাকুল্লা ও তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের ১৪-১৫টি গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক লোক প্রতিনিয়ত ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন।

 

এছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহ সকল পেশা ও শ্রেণির লোকজন যাতায়াত করেন। শুষ্ক মৌসুমে কোন রকমে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে পুরো সড়কটি কর্দমাক্ত হয়ে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এমনকি বৃষ্টির পানিতে কোথাও কোথাও খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে পায়ে হেঁটে কোন রকমে চলাচল করা গেলেও যাত্রীবাহী কোন পরিবহন চলাচল করতে পারে না ওই সড়কে। স্বাধীনতার পর বিগত কয়েকটি সরকারের আমলে ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকার একমাত্র চলাচলের পথটি পাকা করণে স্থানীয় নেতা-কর্মি, এমপি ও মন্ত্রীরা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ওই ইউনিয়নের একাধিক সড়কে রোড লাইট স্থাপন করা হলেও ওই সড়কে একটিও রোড লাইট নেই। ফলে সন্ধ্যার পর ভূতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মাঝে মধ্যেই পথচারীদের ছিনতাইকারীর কবলে পড়তে হয়।

 

এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান শান্ত জানান, রাস্তাটি কার্পেটিং করতে প্রয়াত সংসদ সদস্য ডা. হাবিবুর রহমান, আব্দুল মান্নান ও সাহাদারা মান্নান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে নানা জটিলতার কারণে সড়কটি কার্পেটিং করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুল হক জানান সড়কটি এলজিইডির। সড়কটির দৈর্ঘ্য মাত্র আড়াই কিলোমিটার। সড়কটি বহুবার প্রশস্তকরণ ও কার্পেটিং করণের উদ্যোগ নিয়েও করা সম্ভব হয়নি।

 

কারণ হিসেবে তিনি জানান, সড়কটির দুই পাশে ঘনবসতি। সড়কের উপর স্থাপনা নির্মাণসহ সরকারি রাস্তা দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। যা অপসারণ না করায় দীর্ঘদিনেও সড়কটির উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ইতোমধ্যেই ওই সড়কের উত্তর পার্শ্বে ৭শত মিটার সড়ক কার্পেটিং-এর কাজ শুরু করা হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে মোনারপটল ও পশ্চিম পদ্মপাড়া পর্যন্ত প্রশস্ত হবে। এই সড়কটি কার্পেটিং করা হলে ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি শেষ হবে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com