• মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৩
সর্বশেষ :
ফুলকপি একটি পুষ্টিকর সবজি, যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ফরিদপুরে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক, ১৫ দিনের কারাদণ্ড | চাঁদা তুলতে গিয়ে ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৩ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল বন্ধ বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে কিশোরগঞ্জে সার্বজনীন মানববন্ধন ময়মনসিংহে হাসপাতাল-ক্লিনিকে র‌্যাবের অভিযান , ৫ লাখ টাকা জরিমানা উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে শ্যামনগরে র‍্যালি, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন নির্বাচিত হতে পারলে খাজরা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা ও কোনো কাঁচা রাস্তা : সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন

শ্যামনগরে স ন্ত্রা সী দের অ * স্ত্র মহড়ায় স্ম্যার্ট কার্ড নিতে ব্যর্থ গ্রামবাসী

এস এম মিজানুর রহমান শ্যামনগর, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি / ১৪৬ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪
ছবি সংগ্রহ

শ্যামনগর কৈখালিতে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর অস্ত্র মহড়ায় ভীত হয়ে স্ম্যার্ট কার্ড না নিয়েই ফিরতে হয়েছে গ্রামবাসীদের। গত শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে । এমন পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপুর্ন আধুনিক এ জাতীয় এ পরিচয়পত্র গ্রহনের সুযোগ বঞ্চিতদের মধ্যে হতাশা ভর করেছে। পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে তারা অস্ত্র মহড়ায় অংশ নেয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিতপুর্বক আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানিয়েছে।

 

জানা যায় উপজেলার পশ্চিম কৈখালী গ্রামের সামছুর শেখের পরিবারের সাথে কৈখালী কয়ালপাড়ার নওশাদ কয়ালের পরিবারের পুর্ব বিরোধ রয়েছে। চোরাচালানের পণ্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকে যাওয়া নিয়ে নওশাদ ও তার লোকজন প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করে থাকে। এসবের ধারাবাহিকতায় কয়েকদফা হামলায় শিকার হয়ে সামছুর শেখের পরিবার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা করে। সম্প্রতি উক্ত মামলায় পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়ায় নওশাদসহ তার লোকজন প্রতিপক্ষের উপর মারাত্বক ক্ষুব্ধ হন।

 

একপর্যায়ে শুক্রবার স্ম্যার্ট কার্ড গ্রহনের জন্য স্থানীয় কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় পৌছালেও কয়ালপাড়ার লোকজনের দেশীয় অস্ত্রের মহড়ার মুখে তারা শুন্যহাতে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়।

 

সামছুর রহমান জানান পরিষদে পৌছানোর আগেই নওশাদ কয়াল ছেলেদের পাশাপাশি চোরাচালান সিন্ডিকেটের হোতা মামুনসহ লোকজন নিয়ে মহড়া দেয়। আট/নয় জন লোক প্রকাশ্যে ও ব্যাগে হাতুড়ি, দাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরিবারের সদস্যসহ তার নিকটাত্বীয়দের খুঁজতে থাকে। এসময় কার্ড না নিয়েই স্থানীয়দের সহায়তায় কৌশলে উক্ত এলাকা ছেড়ে তারা বাড়ির পথ ধরে জীবনে রক্ষা পেয়েছেন।

 

সামছুর রহমানের ছেলে ফিরোজ হোসেন অভিযোগ করেন যেকোন মুল্যে প্রতিপক্ষ তাদের ‘হাত অথবা পা নেয়া’র হুমকি দিয়েছে। এলাকার চিহ্নিত ঐ সন্ত্রাসী বাহিনীর অব্যাহত হুমকিতে তারা গত কয়েক মাস ধরে প্রচন্ড আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে উপজেলা সদর কিংবা ভেটখালী বাজারসহ কৈখালী পরিষদ এলাকাতে তাদের লোকজন যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বলেও তার দাবি।

 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নওশাদ কয়ালকে পাওয়া যায়নি। তবে মামুন কয়াল জানান সামছুর শেখের ছেলে ছাড়াও তার এলাকার লোকজন বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। একাধিকবার গরুর চালান ধরিয়ে দিয়ে প্রচুর অর্থের ক্ষতি ঘটিয়েছে। এমনকি রতন গুমের মিথ্যা মামলার স্বাক্ষী হয়ে কয়ালপাড়ার লোকজনের সাথে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়েছে। এসব কারনে এলাকাবাসী কিছুটা উত্তেজিত প্রতিশোধ নেয়ার জন্য।

 

এসব বিষয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশক জানায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটালে কাউকে ছাড়া হবে না। কারও কোন অভিযোগ থাকলে আইনের দারস্থ হতে পারে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com