• সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৯
সর্বশেষ :
ফরিদপুরে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক, ১৫ দিনের কারাদণ্ড | চাঁদা তুলতে গিয়ে ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৩ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল বন্ধ বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে কিশোরগঞ্জে সার্বজনীন মানববন্ধন ময়মনসিংহে হাসপাতাল-ক্লিনিকে র‌্যাবের অভিযান , ৫ লাখ টাকা জরিমানা উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে শ্যামনগরে র‍্যালি, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন নির্বাচিত হতে পারলে খাজরা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা ও কোনো কাঁচা রাস্তা : সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ব্রহ্মরাজপুরে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারেশ নিয়ে বিরোধ: অবশেষে আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি

১৯৭৫ সালের পর এবার সবচেয়ে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে: শেখ হাসিনা

প্রতিনিধি: / ২৯৩ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

১৯৭৫ সালের পর এ বছর সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার দুপুরে গণভবনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। শেখ হাসিনা বলেন, নানা ধরনের অপকর্ম করে তারা (বিএনপি-জামায়াত) এবারের নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় কথা হলো জনগণ স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গেছে এবং ভোট দিয়েছে। টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে ৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সবচেয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, এবারের নির্বাচন। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সামনের যাত্রাপথ এত সহজ না। অনেক বাধা-বিঘœ অতিক্রম করতে হয়। অনেক চক্রান্ত এ বাংলাদেশকে ঘিরে আছে। বাংলাদেশের মানুষ আজকে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা পেয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের পেটে আজ ভাত আছে। তারা চিকিৎসা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছি। আজ বিদেশ থেকে পুরোনো কাপড় এনে পরতে হয় না। পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা যেমন করা হয়েছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এভাবে মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, অনেক টাকা দিয়ে আমাদের কিনে আনতে হয়-সার, বীজ, গম, জ¦ালানি তেল, ভোজ্য তেল, গ্যাস; অনেক কিছুই আমাদের বিদেশ থেকে কিনতে হয়। প্রতিটি জিনিসের দাম যেমন বেড়ে গেছে, সেই সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে। সরকার প্রধান বলেন, যারা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের একটু কষ্ট হচ্ছে। সবাই যদি আমরা অনাবাদি জমিগুলো চাষ করে ফেলি, তাহলে আর এই খাদ্যের অভাব থাকবে না। বরং আমরা আরও উদ্বৃত্ত করতে পারব, মানুষকে দিতেও পারব। তিনি বলেন, যেখানে যত পতিত জমি আছে, সব আমাদের চাষের আওতায় আনতে হবে। তার জন্য যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার, আমরা করব। সেই সঙ্গে সঙ্গে সমবায় করে, সমবায়ের মাধ্যমে বাজারজাতের ব্যবস্থা করতে হবে। খাদ্যশস্য সংরক্ষণে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যশস্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। প্রত্যেক জেলায় যাতে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা যায়, যখন উদ্বৃত্ত হবে, তখন সংরক্ষণ করা, প্রক্রিয়াজাত করা- সেভাবে আমরা কাজ করার ব্যবস্থা নিয়েছি ইতোমধ্যে। বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহŸান জানান তিনি। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক প্রকল্প দিই, কাজ করি। সেই কাজগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়। মানুষ যেন গালি না দেয়। কাজ দেখে যেন মানুষ আস্থা-বিশ্বাস আনতে পারে। এ আস্থা-বিশ্বাস সবচেয়ে বেশি দরকার।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com