• সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৩
সর্বশেষ :
ফরিদপুরে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক, ১৫ দিনের কারাদণ্ড | চাঁদা তুলতে গিয়ে ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৩ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল বন্ধ বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে কিশোরগঞ্জে সার্বজনীন মানববন্ধন ময়মনসিংহে হাসপাতাল-ক্লিনিকে র‌্যাবের অভিযান , ৫ লাখ টাকা জরিমানা উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে শ্যামনগরে র‍্যালি, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন নির্বাচিত হতে পারলে খাজরা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা ও কোনো কাঁচা রাস্তা : সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ব্রহ্মরাজপুরে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারেশ নিয়ে বিরোধ: অবশেষে আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি

সওয়াব হবে না যাদের ফিতরা দিলে

প্রতিনিধি: / ১৬১ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪

ধর্মপাতা: যাকাতের মতো একটি আর্থিক ইবাদত হলো ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর। ‘সদকাতুল ফিতর’ দুটি আরবি শব্দ। সদকা মানে দান, আর ফিতর মানে রোজার সমাপন বা ঈদুল ফিতর। অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা সদকাকেই সদকাতুল ফিতর বলা হয়। ফিতরা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে না থাকলেও এটির গুরুত্বও অনেক। জাকাত অর্জিত সম্পদের পবিত্রতা রক্ষার জন্য দেওয়া হয় আর ফিতরা রমজান মাসে রোজাদরদের ভুল-ত্রæটির কাফ্ফারা ও সাদাকাহ সাদাকাহ হিসেবে দেওয়া হয়। হজরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন অনর্থক ও অশ্লীল কথা-বার্তা দ্বারা সিয়ামের যে ত্রæটি-বিচ্যুতি হয়েছে তা থেকে পবিত্র করা এবং মিসকীনদের খাদ্য প্রদানের জন্য। ঈদের নামাজের পূর্বে আদায় করলে তা যাকাতুল ফিতর হিসেবে গণ্য হবে। আর ঈদের নামাজের পর আদায় করলে তা অন্যান্য সাধারণ দানের মতো একটি দান হবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৬০৯; ইবন মাজাহ, হাদিস : ১৮২৭; মুস্তাদরাকে হাকেম; ১/৪০) কোরআন মজিদে যাকাত ব্যয়ের নির্দিষ্ট আটটি খাত উল্লেখ রয়েছে। সদকাতুল ফিতর, ওয়াজিব সদাকাত, ফিদিয়া, কাফফারা ও মান্নত ব্যয়ের খাতও এগুলো। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মূলত সদকা হলো ফকির, মিসকিন, যাকাতকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলামের সুরক্ষার জন্য) ও বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথসন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তওবা, আয়াত: ৬০) এর বাইরে যাদের যাকাত, সদকাতুল ফিতর, ওয়াজিব সদাকাত, ফিদিয়া, কাফফারা ও মান্নত দেওয়া যায় না, তারা হলেন মা–বাবা ও ঊর্ধ্বতন পুরুষ যেমন দাদা-দাদি ও নানা-নানি। ছেলে-মেয়ে ও অধঃসন্তান পুরুষ যেমন নাতি-নাতনি। স্ত্রী, কারণ, তার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান স্বামীর দায়িত্বে। সায়্যদ, অর্থাৎ হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রকৃত বংশধর। ধনী লোক, যারা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক এবং অমুসলিম ব্যক্তি।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com